সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বন্দুকযুদ্ধে নিহত তুহিনের লাশ দাফনে কেউ রাজি আবার কেউ রাজি না। তুহিনের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হলে মৃত্যুর পর মহল্লার গলিতে গলিতে মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে। র্যাব-১১ কে শুভেচ্ছা জানাতে নিয়ে গেছেন ফুলের তোড়া।
নিহত তুহিনের বড় বোন স্বর্ণা আক্তার বলেন, আমার ভাইতো তার অপকর্মের সাজা পেয়ে গেছে। তারপরেও লাশের সাথে এমন কেন করা হচ্ছে। দেওভোগে লাশ দাফন করতে বাধা দিচ্ছে এলাকাবাসী। তাই পাইকপাড়া কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টায় নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তুহিন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
কালিবাজারের ক্যাম্প ইনচার্জ এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে মাদক ব্যবসায়ী তুহিনকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করতে যায় র্যাব। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তুহিনের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় তুহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।